Sunday, June 1, 2025

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে?

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে?😇😇😇


আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়:

১. একটিভ ইনকাম

২. প্যাসিভ ইনকাম

৩. পোর্টফোলিও ইনকাম


১. একটিভ ইনকাম: একটিভ ইনকাম মানে হচ্ছে এমন আয় যা আপনি সরাসরি পরিশ্রম এবং সময় দিয়ে উপার্জন করেন। যেমন: চাকরি, ব্যবসা অথবা এমন কোনো কাজ যা আপনি যতটুকু সময় দেবেন, ততটুকু আয় করবেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একটি দোকান চালান, তবে আপনি যতক্ষণ দোকান চালাবেন, ততক্ষণ আয় হবে। কিন্তু যদি আপনি দোকানে না যান, তাহলে আয় হবে না। 


এই ধরনের আয় বেশিরভাগ মানুষের কাছে সহজ এবং দ্রুত মনে হয়। এটি সাধারণত সবার কাছে পরিচিত একটি মাধ্যম, এবং বেশিরভাগ মানুষ একটিভ ইনকামের দিকে ছুটে চলে। উদাহরণস্বরূপ, চাকরি করে মাস শেষে বেতন নেওয়া, কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা করা। কিন্তু এই ধরনের আয় হয় সীমিত, কারণ আপনি যতটুকু পরিশ্রম করবেন, ততটুকু আয় হবে। আর একজন মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করতে পারে, এর বেশি নয়। 


যত বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অভিনেতা হোন না কেন, একটিভ ইনকামে আপনি এক সময় আপনি সেই সীমার মধ্যে আটকে পড়বেন। তাই, একটিভ ইনকাম দীর্ঘমেয়াদী ধন-সম্পদ গড়ার জন্য যথেষ্ট নয়।


২. প্যাসিভ ইনকাম: প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন আয় যা আপনি কাজ না করেও উপার্জন করতে পারেন। অর্থাৎ, আপনি ঘুমাচ্ছেন, বা অন্য কোনো কাজ করছেন, তবুও আপনার আয় চলতে থাকে। যারা প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করেন, তারা অনেক সময় ধনী হয়ে ওঠেন। কারণ, প্যাসিভ ইনকামের একটা বড় সুবিধা হলো, এটি সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় এবং কখনো থেমে যায় না। 


উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি যদি একটি বাড়ি ভাড়া দেন, তবে আপনি প্রতি মাসে ভাড়া পাবেন, আর আপনাকে বাড়ির দিকে কোনো বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে না। এছাড়া বই লেখা, ইউটিউব চ্যানেল চালানো, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করা, ফেসবুক পেজ বা ইনস্টাগ্রাম থেকে আয়, আপনি যদি বিশেষ কোনো কাজে দক্ষ হন সে বিষয়ে অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ (Cost Per Action) এই সবই প্যাসিভ ইনকামের উদাহরণ। 


প্যাসিভ ইনকাম শুরু করা সহজ নয়, কারণ এর জন্য প্রথমে কিছু সময় এবং পরিশ্রম দিতে হয়। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন, তবে প্রথম কয়েক মাস হয়তো আপনি আয় পাবেন না, কিন্তু একসময় যখন আপনার ভিডিওগুলো জনপ্রিয় হবে, তখন আয় আসতে থাকবে। অনেক সময়, এই ধরনের ইনকাম শুরু করতে কিছু পুঁজি এবং পরিকল্পনা প্রয়োজন। 


এ কারণে অধিকাংশ মানুষ প্যাসিভ ইনকাম এর প্রতি আগ্রহী নয়, এবং তারা একটিভ ইনকামে আটকে থাকে। তবে যাদের প্যাসিভ ইনকাম থাকে, তারা কখনো অর্থ কষ্টে পড়েন না, কারণ তাদের আয় কখনো বন্ধ হয় না। তাই, যদি আপনি জীবনে সফল হতে চান, তবে একটিভ ইনকাম থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে প্যাসিভ ইনকামের উৎস তৈরি করুন।


৩. পোর্টফোলিও ইনকাম: পোর্টফোলিও ইনকাম হলো সেই আয় যা মূলত ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে আসে। যাদের টাকা আছে, তারা যদি সেই টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে আয় করেন, তখন সেখান থেকে বড় অংকের আয় আসে। এই ধরনের ইনকামের জন্য তাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না।


উদাহরণস্বরূপ, আপনি শেয়ার বাজারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। এছাড়া, আপনি যদি কোনো ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন, তবে সেই ব্যবসা থেকে আয় পাবেন, যদিও আপনার কোনও সরাসরি অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই।


ধনী মানুষ সাধারণত এই ধরনের ইনভেস্টমেন্টে অর্থ রাখেন। কারণ, ব্যাংকে টাকা রাখলে, আসল অর্থের মূল্য দিন দিন কমে যায়। অর্থাৎ, সময়ের সাথে সাথে আপনার টাকা ক্ষয় হতে থাকে। তবে, যদি আপনি সেই টাকা স্টক মার্কেট, রিয়েল এস্টেট, ক্রিপটো (Crypto) মার্কেট, মিউচুয়াল ফান্ডে বা কোনো ভালো ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনার টাকা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি ধনী হতে পারবেন। 


যারা পোর্টফোলিও ইনকামে আগ্রহী নয়, তারা হয়তো জানেন না যে বিনিয়োগের মাধ্যমে কীভাবে সম্পদ হাজার গুণ বৃদ্ধি করা যায়।


২০-৮০ সিস্টেমে আটকে যাচ্ছেন না তো?


আপনার যদি প্যাসিভ ইনকাম কিংবা পোর্টফোলিও ইনকামের প্রতি আগ্রহ না থাকে, তাহলে আপনি হয়তো ২০-৮০ সিস্টেমে আটকে যাবেন। এই সিস্টেম অনুযায়ী, ২০% মানুষ সবসময় ধনী হয় এবং ৮০% মানুষ সারাজীবন গরীব থাকে। এই ২০% মানুষ পৃথিবীর মোট সম্পদের সিংহভাগ অংশের মালিক হয়।


এই কারণে, আপনি যে প্রফেশনেই থাকেন না কেন, চেষ্টা করুন প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে। আপনি যদি শুধুমাত্র একটিভ ইনকামে আটকে থাকেন, তবে আপনার আয় একসময় সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। আর প্যাসিভ ইনকাম অথবা পোর্টফোলিও ইনকাম না থাকলে, আপনি সেই ৮০% মানুষের মধ্যে পড়ে যাবেন, যারা সারাজীবন অর্থ কষ্টে ভুগবে। 


তাই, আজ থেকেই আপনার আয় বাড়ানোর পরিকল্পনা করুন এবং একটিভ ইনকাম থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে প্যাসিভ ইনকাম অথবা পোর্টফোলিও ইনকাম তৈরি করুন। এতে আপনার ভবিষ্যত সুরক্ষিত হবে এবং আপনি ধনী হতে পারবেন। জীবনে সফল হতে এবং ধনী হতে হলে, একটিভ ইনকাম ছাড়াও প্যাসিভ ইনকাম এবং পোর্টফোলিও ইনকামের প্রতি মনোযোগ দিন।

 

Saturday, January 6, 2024

জীবনের গল্প বাংলা

 খুব ভোরবেলা ঋতুর ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। পাশে রাহুল অকাতরে ঘুমোচ্ছে। গায়ের থেকে

চাদরটা সরে গেছে। ঋতু চাদরটা ওর গায়ে ভালো করে জড়িয়ে দিয়ে বিছানা ছাড়লো। পাশের
ঘরে পুপুন ঘুমোচ্ছে। চোখ আধবোজা। ঋতু পুপুনের মাথায় হাত বুলিয়ে হাসলো একটু। ওর মা
বলেন “নাতি আমার শিবঠাকুর, আধবোজা চোখে ঘুমায়।” সেই শুনে রাহুল মজা করে
বলে,”সারাদিন অত নেশাভাঙ্গ করলে চোখ এমনিই বুজে আসে। শিবঠাকুরেরও সেই
অবস্থা!” 
ঋতু চোখেমুখে জল দিয়ে ব্রাশ করে রাত পোশাকটা বদলে বেরলো হাঁটতে। বহুদিন পর
ভোরবেলা হাঁটতে ওর ভালোই লাগছিল। তখন অন্ধকার সরিয়ে অল্প অল্প আলো ফুটছে চারপাশে।
হাল্কা মাধবীলতা, বেলফুল, করবীর গন্ধ বাতাসে। কোকিল ডাকছে। রাস্তার পাশের বড় বড়
গাছগুলো থেকে পাতা খসে পড়ছে। নারকেল গাছের পাতাগুলো দোল খাচ্ছে যেন। রাস্তার আলোয়
সেই পাতার দোল খাওয়া দেখতে দেখতে ঋতু ফিরে যাচ্ছিলো ছোটবেলার দিনগুলোতে। মা
ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে দিতেন। মুখ ধুয়ে পড়তে বসতো ওরা দুই বোন। 
সামনের খোলা জানলা দিয়ে কতবার সূর্যোদয় দেখেছে। ওদের বাড়ির পরেই ছিল একটা পুকুর।
পুকুরের পিছনের দিকটায় নারকেল গাছের সারি। সেই ভোরবেলায় মুরগীগুলো ‘কোকর কো’ করে
ডেকে ওঠাতো পাড়ার সবাইকে। ‘প্যাক প্যাক’ করে ডাকতে ডাকতে সাদা হাঁসগুলো পুকুরের
জলে খেলে বেড়াতো রাজকীয় ভঙ্গিতে। পড়া ফেলে দুই বোনে হাঁস মুরগিদের কলকলানি দেখতো।
সূর্য উঠলে নারকেল গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে প্রায় দিনই রক্তিম আকাশের সৌন্দর্য
দেখতো বাক রুদ্ধ হয়ে। ওরা তখনও পাহাড় বা সমুদ্র থেকে সূর্যোদয় দেখেনি। কিন্তু
কল্পনার রঙের অভাব ছিল না মনে। পরে অনেকবার রাহুলের সাথে ট্যুরে গেছে। দেখেছে
পাহাড়ি পথের সৌন্দর্য। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত। সমুদ্রের ঢেউ গুনতে গুনতে হারিয়ে
গেছে নিজেদের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোতে। কিন্তু ছোটবেলায় দেখা সেই অভিজ্ঞতাগুলো
ম্লান হয়নি এখনও। চিলেকোঠার ঘরে দুই বোনের কত গল্প, সারা দুপুর অংক করতে করতে
চুরি করা আচার লুকিয়ে খাওয়া, সাধারণ কথাতেও হেসে গড়িয়ে পড়া সেই ছোট্ট ছোট্ট
খুশিগুলো ছিল অমূল্য। ঋতু বিউটিশিয়ানের কোর্স করে একটা বিউটি পার্লারের মালিক।
রাহুল বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে। সাজানো সংসার, গাড়ি, বাড়ি কিছুরই অভাব নেই।
তবুও এত সুখের মাঝে ছোটবেলার সুখ, আনন্দের মুহূর্তগুলো আজও মনে রেখেছে যত্ন করে।
মাঝে মাঝে সেসব কথা মনে পড়লে এক অদ্ভুত আত্মতৃপ্তিতে ভরে ওঠে মন। খুব ভোরে মা
উনুনে আঁচ দিতেন। বড়মা উনুনে হাওয়া করতেন বার কয়েক। তারপর গলগল করে ধোঁয়া বেরতো।
একটা ধোঁয়াটে পরিবেশ উঠোনটা জুড়ে, বাগানের জবা, টগরফুলের গাছগুলোর মাঝে মাঝে
ধোঁয়াটা জমে থাকতো গাছের পাতার ফাঁকে। ধোঁয়ার গন্ধে চোখ জ্বালা করতো। সকালে দুধ
দিয়ে চা করে বড়মা সবাইকে ডাকতেন চা খেতে। ফুলকাটা ব্রিটানিয়া বিস্কুট দিয়ে চা
খেতেন বাবা আর জেঠুন। খবরের কাগজের পাতাগুলো ভাগাভাগি করে পড়তেন ওনারা। তারপরে
তাড়াহুড়ো করে স্নান করে মাছের ঝোল ভাত খেয়ে অফিসে দৌড়তেন। বড়মা নিজেও জর্দা পান
খেতেন আর বাবা জেঠুনের হাতে অফিস যাওয়ার আগে পান দিতেন। বড়মায়ের সাজা পান ঋতুরা
দুই বোনও কতবার খেয়েছে। বড়মা রাগ করতেন, “দাঁতগুলি কুচ্ছিত হইয়া যাইবো, খাইস না।”
কে শোনে সে কথা। ঐ পানের স্বাদ যেন বিরিয়ানি কোপ্তা কালিয়াকেও হার মানায়। দাদাভাই
বিকেলে ফুটবল খেলে এসে ঘেমো গায়ে দুই বোনের মাথায় চাঁটি দিয়ে বলতো, “ভালো করে পড়।
না হলে মুটে মজুর যাকে পাবো তার সাথেই বিয়ে দিয়ে দেবো। মদ খেয়ে এসে পেটন দেবে
তোদের। তখন বুঝবি পড়াশোনা না করে কি ভুলটাই না করেছিস।” সেই দাদাভাই আমেরিকায়
সেটেলড্। আসে না বহুদিন হলো। জেঠুন মারা গেছেন। মা বাবা আর বড়মা বাড়িটা আগলে বসে
আছেন। বোনের বিয়ে হয়েছে দিল্লিতে। স্বামী স্ত্রী দুজনেই বিরাট চাকরি করে। এদিকে
তেমন যোগাযোগ করে না। ন’মাসে, ছ’মাসে ফোনে দু একটা কথাবার্তা হয়। 
ঋতু হাঁটতে হাঁটতে এসব কথা ভাবছিলো। হঠাৎ করে উনুনের ধোঁয়ার গন্ধ নাকে এলো।
তাকিয়ে দেখলো একটা ঝুপড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সামনেই চায়ের দোকান। ঋতু দোকানের
সামনে রাখা বেঞ্চে বসলো। অনেকটা হেঁটে পা টনটন করছে। অনভ্যাসের ফল। আগে কত
হাঁটতো। স্কুলে যেতে আসতে, পাড়ার টিউশনে কিংবা এমনিই বান্ধবীদের সাথে ঘোরাঘুরি।
কৈ তখন পা ব্যাথা করেনি তো! দোকানি লোকটা ঝুপড়ির থেকে বেরিয়ে এসে বললো, “দিদিমণি
চা খাবেন? একটু দেরি হবে। উনুনটা ধরিয়েছি।” ঋতু ঘাড় কাত করে ‘হ্যা’ বলে বসেই
রইলো। কয়েকজন লোক, কমবয়সী ছেলেরা জগিং করবার জন্য দৌড়চ্ছে। ওরা ছোটবেলায় বাড়ির
পাশেই ছেলেদের খেলা দেখতে দেখতে বড় হয়েছে। সে সময় মেয়েরা এতো স্বাস্থ্য বা
সৌন্দর্য সচেতন ছিল না। ঘরেই মা কাকিমাদের রান্নাঘরের ভাঁড়ার থেকে ময়দা, বেসন,
টমেটো, মধু, দই এসব নানা উপকরণ মুখে মাখতো। পাড়ায় পাড়ায় এতো বিউটি পার্লার গজিয়ে
ওঠেনি।
ঋতু অনেকদিন পরে মাটির ভাঁড়ে চা খেলো। পোড়া মাটির ভাঁড়ে চা দিলে একটা সোঁদা গন্ধ
পাওয়া যায়। সেই গন্ধটা ঋতুর খুব প্রিয়।প্রতিদিন রান্নার মেয়েটা এসে দুবেলা রান্না
করে দিয়ে যায়। ঋতু রান্না করে শখে; বর ছেলের বায়নায়। ছোটবেলায় দেখেছে মা আর
বড়মায়ের সারাদিন কেটে গেছে রান্নাঘরে। আত্মীয়স্বজনরা তখন আসতো মাঝে মাঝেই। একটা
হলুদ পোস্ট কার্ডের চিঠি একে অপরকে মনের অনেকটা কাছে নিয়ে আসতো। সংসারের শত কাজেও
মা আর বড়মার মুখটা তেলে ঘামে দূর্গাঠাকুরের মুখের মতোই চকচক করতো। জ্যান্ত দূর্গা
ঘরে ঘরে। সিঁদুরের টিপটা কপালে লেপ্টে গিয়ে বড়মাকে কেমন যেন তেজোদীপ্ত দেবী
চৌধূরানী মনে হতো ঋতুর। রবীন্দ্রনাথ শরৎচন্দ্র আর বঙ্কিমবাবুর লেখা নারী চরিত্ররা
মূর্ত হয়ে উঠতো বাংলার ঘরে বাইরেই। এখন তো তেমন কেউ কারোর বাড়িতে যাতায়াত করেই
না। মোবাইলে যোগাযোগ হয়ে সম্পর্কগুলো বড্ড মেকি হয়ে গেছে। সবাই যেন দৌড়চ্ছে।
আর্থিক বা সামাজিক পরিস্থিতিটা খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। এটা সার্বিকভাবে ভালো হলেও
মানুষ অনেক ছোট গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। 

চা শেষ করে আবার হাঁটা দিলো ঋতু নিজের ফ্ল্যাটের দিকে। তখন আলো ফুটেছে পুরোপুরি।
যে পরিবেশটাকে আলো আঁধারিতে কেমন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিলো কিছুটা; দিনের আলো
পুরোপুরি ফুটে উঠতেই ছেলেবেলার সেই দিনগুলো হারিয়ে গেল আবার স্মৃতির অতলে।
বাস্তবের মাটিতে পা রেখে ঋতুর মতো হাজার হাজার মহিলার পথ চলা শুরু আবারও একটা
নতুন দিনের জন্য নতুন আশাকে সঙ্গী করে। ঘরে স্বামী সন্তান অপেক্ষায় তাঁর। এই
সম্পর্কের বাঁধনটুকুই সম্বল। এই সুখটুকু পাওয়ার জন্যই মেয়েরা সংসার আঁকড়ে থাকে।
জন্ম নিতে চায় আবারও। তাই তো কবি হেলাল হাফিজ বলেছেন,


“আমাকে স্পর্শ করো,

নিবিড় স্পর্শ করো নারী।

অলৌকিক কিছু নয়,

নিতান্তই মানবিক যাদুর মালিক তুমি,

তোমার স্পর্শেই শুধু আমার উদ্ধার।

আমাকে উদ্ধার করো পাপ থেকে, পঙ্কিলতা থেকে, নিশ্চিত পতন থেকে।

নারী তুমি আমার ভিতরে হও প্রবাহিত, দুর্বিনিত নদীর মত,

মিলেমিশে একাকার হয়ে এসো বাঁচি।।”

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে?

গরিব কেন সারাজীবন গরিব থাকে?😇😇😇 আয় সাধারণত তিন ধরনের হয়: ১. একটিভ ইনকাম ২. প্যাসিভ ইনকাম ৩. পোর্টফোলিও ইনকাম ১. একটিভ ইনকাম: একটিভ ইনকাম ...